সেরা শব্দটি সব সময়ই বিতর্কিত। কারো কাছে যেটি সেরা অন্য কারো কাছে সেটি নগন্য বা জঘন্যও হতে পারে। তবুও শিল্প—সাহিত্য, খেলাধুলা থেকে নানা ক্ষেত্রেই সেরা শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বিতর্ক সৃষ্টির জন্য নয়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু চলচ্চিত্রের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দিতেই এই বই। শত সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় খেয়াল করা হয়েছে। পাঠকের জ্ঞাতার্থে তা তুলে ধরছি। বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের আলোচনার ক্ষেত্রে আইএমডিবি, মেটাক্রিটিক এবং রটেন টমেটো নামের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ওয়েবসাইট আছে। এই তিনটি ওয়েবসাইট বিভিন্ন শ্রেণীর চলচ্চিত্রের মূল্যায়ন ও আলোচনা করে। রটেন টমেটো চলচ্চিত্রের ভাল—মন্দ বিচার করে ওয়েবসাইটটিতে দেয়া সমালোচকদের মতামতের ভিত্তিতে। শতকরা হিসেবে তারা একেকটি চলচ্চিত্র তাজা বা পঁচা হিসেবে উল্লেখ করে। এই বইতে যে সব চলচ্চিত্রের আলোচনা করা হয়েছে তার অধিকাংশই রটেন টমেটোর বিবেচনায় ৮০ শতাংশের বেশি তাজা।
সেরা শব্দটি সব সময়ই বিতর্কিত। কারো কাছে যেটি সেরা অন্য কারো কাছে সেটি নগন্য বা জঘন্যও হতে পারে। তবুও শিল্প—সাহিত্য, খেলাধুলা থেকে নানা ক্ষেত্রেই সেরা শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বিতর্ক সৃষ্টির জন্য নয়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু চলচ্চিত্রের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দিতেই এই বই।
শত সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় খেয়াল করা হয়েছে। পাঠকের জ্ঞাতার্থে তা তুলে ধরছি। বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের আলোচনার ক্ষেত্রে আইএমডিবি, মেটাক্রিটিক এবং রটেন টমেটো নামের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ওয়েবসাইট আছে। এই তিনটি ওয়েবসাইট বিভিন্ন শ্রেণীর চলচ্চিত্রের মূল্যায়ন ও আলোচনা করে। রটেন টমেটো চলচ্চিত্রের ভাল—মন্দ বিচার করে ওয়েবসাইটটিতে দেয়া সমালোচকদের মতামতের ভিত্তিতে। শতকরা হিসেবে তারা একেকটি চলচ্চিত্র তাজা বা পঁচা হিসেবে উল্লেখ করে। এই বইতে যে সব চলচ্চিত্রের আলোচনা করা হয়েছে তার অধিকাংশই রটেন টমেটোর বিবেচনায় ৮০ শতাংশের বেশি তাজা। মেটাক্রিটিক ওয়েবসাইটটিও সাধারণ দর্শক ও সমালোচকের মতামতের ভিত্তিতে সেরা তালিকা করে। আইএমডিবি তো বিশ্ব চলচ্চিত্রের খুঁটিনাটি তথ্যের বিরাট ভাণ্ডার। এই তিনটি ওয়েবসাইট থেকে আমি অকাতরে তথ্য উপাত্ত গ্রহণ করেছি। অন্যদিকে আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিট্যুট, ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিট্যুট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান নানা রকমের চলচ্চিত্রের রেটিং করে নিয়মিত। রজার এবার্টের মতো বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র বোদ্ধা ও সমালোচকরাও নিয়মিত নানা দেশের নানা রকমের চলচ্চিত্রের রেটিং করেন। এই বইয়ের চলচ্চিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই সব রেটিং—কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একাধিক গ্রন্থ ও দেশ—বিদেশের চলচ্চিত্র সমালোচকের সেরা ছবির তালিকাকেও বিবেচনা করা হয়েছে।
ব্যাপকভাবে তথ্য নেয়া হয়েছে, উইকিপিডিয়া, আইএমডিবি (ইন্টারন্যাশনাল মুভি ডাটা বেইজ), রোটেন টমেটোর ওয়েব সাইট থেকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাহায্য নেয়া হয়েছে ডেরেক ও’ ব্রায়ানের ‘হলিউড দ্য হান্ডের্ড গ্রেটেস্ট ফিল্মস’ (পেঙ্গুইন বুকস), রেচেল ডয়ারের ‘১০০ বলিউড ফিল্মস’ (রলি বুকস), জেরেক কুপস্—এর ‘দ্য হিস্টোরি অব সিনেমা ফর বিগেনার্স’ (ওরিয়েন্টাল লংম্যান) এবং ধীমান দাশগুপ্তের ‘চলচ্চিত্র অভিধান’ (বাণীশিল্প) বইগুলো থেকে। অতএব বিশ্বসেরা একশ চলচ্চিত্র স্রেফ আমার একক পছন্দ নয়, অনেক জ্ঞানী—গুণীর পছন্দেরও সম্মিলন। আমি মূলতই চেষ্টা করেছি নানা দেশ ও ভাষার ছবি এই তালিকায় সংযোজন করতে। এই বইয়ের মাধ্যমে পাঠক চীন, জাপান, ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ইরান, স্পেন, ইতালি, জার্মানি ইত্যাদি দেশের ও নানা ভাষার সেরা কাজগুলো সম্পর্কে একটু ধারণা পাবেন বলে আশা রাখছি। স্ট্রোইহাম, চ্যাপলিন, গদার, ফেলিনি, বুনুয়েল, কুরোশাওয়া, সত্যজিৎ, ঋত্বিক, তারকোভস্কি, কপোলা, হিচককের মতো পরিচালকদের একাধিক চলচ্চিত্রের কথা এই বইয়ে সংযোজনের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিটি চলচ্চিত্রের কাহিনী সংক্ষেপের পাশাপাশি এর বিশেষত্ব, কলাকুশলীর নাম সহ বিশেষ আকর্ষণীয় তথ্যও যোগ করা হয়েছে।
এই বই রচনার ক্ষেত্রে অনেকের উৎসাহ ও সহযোগিতা পেয়েছি। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই সাকিরা পারভীনকে। তাপস রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা বইটির প্রম্নফ দেখা সহ আরো কিছু বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য। সর্বোপরি আমার চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখালেখির কিছু পাঠক আছে যারা প্রায়শই এই রকম একটি বইয়ের কথা বলে ছিলেন, তাদের প্রতি ধন্যবাদ। পাঠকের উৎসাহ ছাড়া লিখে সুখ পাওয়া যায় না। পাঠকই তো লেখকের প্রথম ও শেষ ভরসা।
সকল পাঠককে শুভেচ্ছা।
সেরা শব্দটি সব সময়ই বিতর্কিত। কারো কাছে যেটি সেরা অন্য কারো কাছে সেটি নগন্য বা জঘন্যও হতে পারে। তবুও শিল্প—সাহিত্য, খেলাধুলা থেকে নানা ক্ষেত্রেই সেরা শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বিতর্ক সৃষ্টির জন্য নয়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু চলচ্চিত্রের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দিতেই এই বই। শত সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় খেয়াল করা হয়েছে। পাঠকের জ্ঞাতার্থে তা তুলে ধরছি। বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের আলোচনার ক্ষেত্রে আইএমডিবি, মেটাক্রিটিক এবং রটেন টমেটো নামের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ওয়েবসাইট আছে। এই তিনটি ওয়েবসাইট বিভিন্ন শ্রেণীর চলচ্চিত্রের মূল্যায়ন ও আলোচনা করে। রটেন টমেটো চলচ্চিত্রের ভাল—মন্দ বিচার করে ওয়েবসাইটটিতে দেয়া সমালোচকদের মতামতের ভিত্তিতে। শতকরা হিসেবে তারা একেকটি চলচ্চিত্র তাজা বা পঁচা হিসেবে উল্লেখ করে। এই বইতে যে সব চলচ্চিত্রের আলোচনা করা হয়েছে তার অধিকাংশই রটেন টমেটোর বিবেচনায় ৮০ শতাংশের বেশি তাজা।
By মুম রহমান
Category: চলচ্চিত্র
সেরা শব্দটি সব সময়ই বিতর্কিত। কারো কাছে যেটি সেরা অন্য কারো কাছে সেটি নগন্য বা জঘন্যও হতে পারে। তবুও শিল্প—সাহিত্য, খেলাধুলা থেকে নানা ক্ষেত্রেই সেরা শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বিতর্ক সৃষ্টির জন্য নয়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু চলচ্চিত্রের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দিতেই এই বই।
শত সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় খেয়াল করা হয়েছে। পাঠকের জ্ঞাতার্থে তা তুলে ধরছি। বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের আলোচনার ক্ষেত্রে আইএমডিবি, মেটাক্রিটিক এবং রটেন টমেটো নামের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ওয়েবসাইট আছে। এই তিনটি ওয়েবসাইট বিভিন্ন শ্রেণীর চলচ্চিত্রের মূল্যায়ন ও আলোচনা করে। রটেন টমেটো চলচ্চিত্রের ভাল—মন্দ বিচার করে ওয়েবসাইটটিতে দেয়া সমালোচকদের মতামতের ভিত্তিতে। শতকরা হিসেবে তারা একেকটি চলচ্চিত্র তাজা বা পঁচা হিসেবে উল্লেখ করে। এই বইতে যে সব চলচ্চিত্রের আলোচনা করা হয়েছে তার অধিকাংশই রটেন টমেটোর বিবেচনায় ৮০ শতাংশের বেশি তাজা। মেটাক্রিটিক ওয়েবসাইটটিও সাধারণ দর্শক ও সমালোচকের মতামতের ভিত্তিতে সেরা তালিকা করে। আইএমডিবি তো বিশ্ব চলচ্চিত্রের খুঁটিনাটি তথ্যের বিরাট ভাণ্ডার। এই তিনটি ওয়েবসাইট থেকে আমি অকাতরে তথ্য উপাত্ত গ্রহণ করেছি। অন্যদিকে আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিট্যুট, ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিট্যুট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান নানা রকমের চলচ্চিত্রের রেটিং করে নিয়মিত। রজার এবার্টের মতো বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র বোদ্ধা ও সমালোচকরাও নিয়মিত নানা দেশের নানা রকমের চলচ্চিত্রের রেটিং করেন। এই বইয়ের চলচ্চিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই সব রেটিং—কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একাধিক গ্রন্থ ও দেশ—বিদেশের চলচ্চিত্র সমালোচকের সেরা ছবির তালিকাকেও বিবেচনা করা হয়েছে।
ব্যাপকভাবে তথ্য নেয়া হয়েছে, উইকিপিডিয়া, আইএমডিবি (ইন্টারন্যাশনাল মুভি ডাটা বেইজ), রোটেন টমেটোর ওয়েব সাইট থেকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাহায্য নেয়া হয়েছে ডেরেক ও’ ব্রায়ানের ‘হলিউড দ্য হান্ডের্ড গ্রেটেস্ট ফিল্মস’ (পেঙ্গুইন বুকস), রেচেল ডয়ারের ‘১০০ বলিউড ফিল্মস’ (রলি বুকস), জেরেক কুপস্—এর ‘দ্য হিস্টোরি অব সিনেমা ফর বিগেনার্স’ (ওরিয়েন্টাল লংম্যান) এবং ধীমান দাশগুপ্তের ‘চলচ্চিত্র অভিধান’ (বাণীশিল্প) বইগুলো থেকে। অতএব বিশ্বসেরা একশ চলচ্চিত্র স্রেফ আমার একক পছন্দ নয়, অনেক জ্ঞানী—গুণীর পছন্দেরও সম্মিলন। আমি মূলতই চেষ্টা করেছি নানা দেশ ও ভাষার ছবি এই তালিকায় সংযোজন করতে। এই বইয়ের মাধ্যমে পাঠক চীন, জাপান, ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ইরান, স্পেন, ইতালি, জার্মানি ইত্যাদি দেশের ও নানা ভাষার সেরা কাজগুলো সম্পর্কে একটু ধারণা পাবেন বলে আশা রাখছি। স্ট্রোইহাম, চ্যাপলিন, গদার, ফেলিনি, বুনুয়েল, কুরোশাওয়া, সত্যজিৎ, ঋত্বিক, তারকোভস্কি, কপোলা, হিচককের মতো পরিচালকদের একাধিক চলচ্চিত্রের কথা এই বইয়ে সংযোজনের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিটি চলচ্চিত্রের কাহিনী সংক্ষেপের পাশাপাশি এর বিশেষত্ব, কলাকুশলীর নাম সহ বিশেষ আকর্ষণীয় তথ্যও যোগ করা হয়েছে।
এই বই রচনার ক্ষেত্রে অনেকের উৎসাহ ও সহযোগিতা পেয়েছি। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই সাকিরা পারভীনকে। তাপস রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা বইটির প্রম্নফ দেখা সহ আরো কিছু বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য। সর্বোপরি আমার চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখালেখির কিছু পাঠক আছে যারা প্রায়শই এই রকম একটি বইয়ের কথা বলে ছিলেন, তাদের প্রতি ধন্যবাদ। পাঠকের উৎসাহ ছাড়া লিখে সুখ পাওয়া যায় না। পাঠকই তো লেখকের প্রথম ও শেষ ভরসা।
সকল পাঠককে শুভেচ্ছা।